তিহার জেলে আফজলের ফাঁসি, কাশ্মীরে কারফিউ
Posted in News
তিহার জেলে আফজলের ফাঁসি, কাশ্মীরে কারফিউ
ফাঁসি দেওয়া হল ২০০১ সালের সংসদ জঙ্গি হানা মামলার মূল চক্রী আফজল গুরুকে৷ ২৬/১১ মুম্বই হানায় দোষী সাব্যস্ত আজমল কসাবের মতোই চরম গোপনীয়তার মধ্যে আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তিহার জেলে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রস্বরাষ্ট্র সচিব আর কে সিংহ জানিয়েছেন, ফাঁসির পর সকাল ৮টায় তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন চিকিত্সকরা৷ কাশ্মীরের বসবাসকারী আফজলের পরিবারকেও ফাঁসির খবর পাঠানো হয়েছে৷ রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, কয়েকদিন আগেই আফজলের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন রদ করার আর্জি খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ স্বরাষ্ট্রসচিব জানান, গত ৩ ফেব্রুয়ারি এই আবেদন খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি৷ এরপরই আফজলকে ফাঁসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র৷ সূত্রের খবর, তার দেহ নিতে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও দাবি করা হয়নি, তাই আফজলকে তিহার জেলেই কবর দেওয়া হয়েছে৷
তিহার জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন নম্বর ফাঁসি ঘরে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়৷ ওই সময় শুধুমাত্র তিহার জেলের সুপার, একজন চিকিত্সক এবং একজন ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে ছিলেন বলে সূত্রের খবর৷ পুরো ঘটনায় এতটাই গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছিল যে, জেলের ডেপুটি সুপারও ফাঁসির খবর জানতেন না৷ একেবারে শেষ মুহূর্তে তিহার জেলে খবর আসে বলে সূত্র মারফত জানা গেছে৷
এই ঘটনার জেরে দিল্লি ও মুম্বই সহ সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ সতর্ক করা হয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকারকেও৷ ইতিমধ্যেই কাশ্মীর কারফিউ জারি করে দেওয়া হয়েছে৷
২০০১-এর ১৩ ডিসেম্বর সংসদে হামলা চালায় পাঁচ সশস্ত্র জঙ্গি৷ নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে গুলির লড়াই হয়৷ নিহত হন আট নিরাপত্তাকর্মী৷ এঁদের মধ্যে ছিলেন দিল্লি পুলিশের পাঁচজন কনস্টেবল, সিআরপিএফের এক মহিলা কনস্টেবল ও সংসদের দুই নিরাপত্তাকর্মীরা৷ মারা যান একজন সাংবাদিকও৷ গুলির লড়াইয়ে মারা যায় জঙ্গিরা৷ ২০০৩ সালে হামলার মূল চক্রী আফজলকে ফাঁসির সাজা দেয় দিল্লি হাইকোর্ট৷ শাস্তি বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট৷ তার ফাঁসির দিন স্থির হয়৷ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে আফজল৷ এরপর তার ফাঁসি নিয়ে টালবাহানা চলতে থাকে৷ সংসদ হানার মূল চক্রী আফজল গুরুকে কেন এখনও ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলে বিজেপি৷ অবশেষে তাঁকে ফাঁসি দিল কেন্দ্র৷
ফাঁসি দেওয়া হল ২০০১ সালের সংসদ জঙ্গি হানা মামলার মূল চক্রী আফজল গুরুকে৷ ২৬/১১ মুম্বই হানায় দোষী সাব্যস্ত আজমল কসাবের মতোই চরম গোপনীয়তার মধ্যে আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তিহার জেলে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রস্বরাষ্ট্র সচিব আর কে সিংহ জানিয়েছেন, ফাঁসির পর সকাল ৮টায় তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন চিকিত্সকরা৷ কাশ্মীরের বসবাসকারী আফজলের পরিবারকেও ফাঁসির খবর পাঠানো হয়েছে৷ রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, কয়েকদিন আগেই আফজলের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন রদ করার আর্জি খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ স্বরাষ্ট্রসচিব জানান, গত ৩ ফেব্রুয়ারি এই আবেদন খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি৷ এরপরই আফজলকে ফাঁসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র৷ সূত্রের খবর, তার দেহ নিতে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও দাবি করা হয়নি, তাই আফজলকে তিহার জেলেই কবর দেওয়া হয়েছে৷
তিহার জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন নম্বর ফাঁসি ঘরে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়৷ ওই সময় শুধুমাত্র তিহার জেলের সুপার, একজন চিকিত্সক এবং একজন ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে ছিলেন বলে সূত্রের খবর৷ পুরো ঘটনায় এতটাই গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছিল যে, জেলের ডেপুটি সুপারও ফাঁসির খবর জানতেন না৷ একেবারে শেষ মুহূর্তে তিহার জেলে খবর আসে বলে সূত্র মারফত জানা গেছে৷
এই ঘটনার জেরে দিল্লি ও মুম্বই সহ সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ সতর্ক করা হয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকারকেও৷ ইতিমধ্যেই কাশ্মীর কারফিউ জারি করে দেওয়া হয়েছে৷
২০০১-এর ১৩ ডিসেম্বর সংসদে হামলা চালায় পাঁচ সশস্ত্র জঙ্গি৷ নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে গুলির লড়াই হয়৷ নিহত হন আট নিরাপত্তাকর্মী৷ এঁদের মধ্যে ছিলেন দিল্লি পুলিশের পাঁচজন কনস্টেবল, সিআরপিএফের এক মহিলা কনস্টেবল ও সংসদের দুই নিরাপত্তাকর্মীরা৷ মারা যান একজন সাংবাদিকও৷ গুলির লড়াইয়ে মারা যায় জঙ্গিরা৷ ২০০৩ সালে হামলার মূল চক্রী আফজলকে ফাঁসির সাজা দেয় দিল্লি হাইকোর্ট৷ শাস্তি বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট৷ তার ফাঁসির দিন স্থির হয়৷ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে আফজল৷ এরপর তার ফাঁসি নিয়ে টালবাহানা চলতে থাকে৷ সংসদ হানার মূল চক্রী আফজল গুরুকে কেন এখনও ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলে বিজেপি৷ অবশেষে তাঁকে ফাঁসি দিল কেন্দ্র৷
0 comments :